সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র নির্দেশ অমান্য করে উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা এবং সরকারী খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা পল¬¬ী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সামনে কালবার্ট সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় ও পার্শ¦বর্তী খাল দখল করে সেখানে পাকা ভবন নির্মান করছে উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে নোনা পুকুরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ হাওলাদার ও দক্ষিণ শিহিপাসা গ্রামের রফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম। আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস এর নির্দেশে সংশি¬ষ্ঠ গৈলা ইউনিয়নের তহশিলদার জাহাঙ্গীর আলম কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন এবং ভবন উত্তলনকারীদের কাছে জায়গার মালিকানা কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু পাকা ভবন উত্তলন কারীরা কোন কাগজপত্র না দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র নির্দেশ অমান্য করে পুণরায় পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ভবন নির্মাণকারী মাসুদ হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, পাকা ভবন নির্মাণের জায়গায় পূর্বে আমার (মাসুদ) পিতার ঘর ছিলো। সেই হিসেবে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ করছি। তবে ওই জায়গার আমাদের নামে কোন কাগজপত্র বা রেকর্ড নেই।
এ ব্যাপারে সংশি¬ষ্ট গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর হোসেন টিটু বলেন, যে যায়গায় পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা সরকারী জায়গা। পাকা ঘর নির্মাণ হলে গৈলা বাজারের পানি নিস্কাশন বাঁধার সম্মূখিন হবে।
বরিশাল সওজ’র আগৈলঝাড়া এলাকার দায়িত্বে থাকা এসও আবু হানিফ বলেন, সওজ’র জায়গা দখলের বিষয়টি শুনেছি। আমি অফিসের সাথে কথা বলে কাজ বন্ধের ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, জনগনের ব্যবহারের জন্য খাল সরকারী সম্পত্তি। সেটা কেউ দখল নিতে পারবে না। গৈলা ইউনিয়নের তহশিলদার জাহাঙ্গীর আলম কে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার পরে যদি কেউ কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।